পুকুরের দক্ষিণ অংশের কৃষকেরা পুকুর খননের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। তাঁদের শঙ্কা, পুকুরটি কাটা হয়ে গেলে তাঁদের জমি পানিতে নিমজ্জিত থাকবে। কারণ, পাড় বন্ধ হয়ে গেলে খালে পানি নামবে না।
পুকুরের দক্ষিণে দুই বিঘা ধানি জমি আছে এন্তাজ প্রামাণিকের। পুকুর খননের শুরু থেকেই তিনি প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। তবু দুই রাত ধরে খননকাজ চলছে। এন্তাজ প্রামাণিক প্রথম আলোকে বলেন, পুকুরটির দক্ষিণে যে পাড় বাঁধা হচ্ছে, সেখানে তাঁর জমি পড়েছে। শুরু থেকেই বাধা দিয়ে আসছেন। কিন্তু শুনছে না। আজও এলাকার কয়েকজন এসেছিলেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, জমি দেবেন না। তিনি বলেন, এই পুকুর হয়ে গেলে এলাকার সর্বনাশ হয়ে যাবে। এটা এখন কেউ না বুঝলেও বর্ষাকালে অনেকের বাড়িতেও পানি উঠতে পারে।
কাইরের বিলে চন্দ্রাবতী খাল থেকে শ্যালো মেশিনে পানি দিচ্ছিলেন কৃষক ওবায়দুল হক। খালের পূর্ব পাশে তাঁর ভুট্টাখেত। তিনি বলেন, বছর দুয়েক আগেও বিলে কোনো পুকুর ছিল না। এখন পুকুর আর পুকুর। খালে পানি নামতে পারে না। এভাবে পুকুর খনন হতে থাকলে হয়তো খালই মরে যাবে। তিনি বলেন, পুকুর কাটতে তিনি জমি দেবেন না। কৃষকেরা লোভে পড়ে জমি ইজারা দিচ্ছেন। ১০-২০ বছর পর পুকুরের কাজ হবে না। তাঁর দাবি, পুকুর খননে প্রশাসনও জড়িত। না হলে পুকুর কাটার মহোৎসব চলত না।