Dhaka ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট : ০২:৫১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
  • / 38

তীব্র দাবদাহ ও প্রখর রোদে অতিষ্ঠ জনজীবন। দুপুর গড়াতেই তাপমাত্রার পারদ গিয়ে ঠেকছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও ওপরে। গেল কয়েকদিন ধরেই রাজশাহীজুড়ে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষায় বৃষ্টির ফরিয়াদ জানিয়ে পুঠিয়ায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) পি এন মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়। এ সময় মোনাজাতে অঝোরে কাঁদেন মুসল্লিরা।

পুঠিয়া উপজেলার ওলামা পরিষদের আয়োজনে এ নামাজে ইমামতি করেন আলহাজ মাওলানা মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম। দুই রাকাত নামাজ শেষে রাজশাহীসহ সারাদেশেই বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়া মোনাজাত থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।

গত ১৭ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ মঙ্গলবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, তীব্র খরার কবলে পড়ে হু হু করে নেমে যাচ্ছে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। অবর্ণনীয় এক নিদারুণ কষ্টে একেকটি দিন-রাত পার করছেন এ অঞ্চলে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ। অচল হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বৃষ্টির জন্য চারিদিকে হাহাকার পড়ে গেছে। বাড়ছে হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগবালাই। গেল শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে অধিকাংশ মসজিদেই চলমান তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা উম্মে ছালমা জানান, তীব্র খরার কবলে পড়েছে কৃষি ফসলও। এরমধ্যে বিশেষ করে ভুট্টা ও পাটের ক্ষেত পুড়ে যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষকদের জমিতে সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ছিল দীর্ঘ ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে এর আগে ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শেয়ার করুন

রাজশাহীতে বৃষ্টির জন্য অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা

আপডেট : ০২:৫১:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

তীব্র দাবদাহ ও প্রখর রোদে অতিষ্ঠ জনজীবন। দুপুর গড়াতেই তাপমাত্রার পারদ গিয়ে ঠেকছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও ওপরে। গেল কয়েকদিন ধরেই রাজশাহীজুড়ে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এমন পরিস্থিতি থেকে রক্ষায় বৃষ্টির ফরিয়াদ জানিয়ে পুঠিয়ায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) পি এন মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ নামাজ আদায় করা হয়। এ সময় মোনাজাতে অঝোরে কাঁদেন মুসল্লিরা।

পুঠিয়া উপজেলার ওলামা পরিষদের আয়োজনে এ নামাজে ইমামতি করেন আলহাজ মাওলানা মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম। দুই রাকাত নামাজ শেষে রাজশাহীসহ সারাদেশেই বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়া মোনাজাত থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষায় দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়।

গত ১৭ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বশেষ মঙ্গলবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, তীব্র খরার কবলে পড়ে হু হু করে নেমে যাচ্ছে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। অবর্ণনীয় এক নিদারুণ কষ্টে একেকটি দিন-রাত পার করছেন এ অঞ্চলে খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ। অচল হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বৃষ্টির জন্য চারিদিকে হাহাকার পড়ে গেছে। বাড়ছে হিটস্ট্রোক ও ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগবালাই। গেল শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে অধিকাংশ মসজিদেই চলমান তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা উম্মে ছালমা জানান, তীব্র খরার কবলে পড়েছে কৃষি ফসলও। এরমধ্যে বিশেষ করে ভুট্টা ও পাটের ক্ষেত পুড়ে যাচ্ছে। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কৃষকদের জমিতে সেচ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ছিল দীর্ঘ ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে এর আগে ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।